শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক যেভাবে করবেন
শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক যেভাবে করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক
শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসপ্যাক কিভাবে করবেন, তার নির্দিষ্ট একক কোন নিয়ম নেই, তাই আপনি চাইলে অনেকভাবেই এই ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন।
আপনার ত্বক যেমন সেটার উপর নির্ভর করবে কিভাবে আপনি তার যত্ন নিবেন। সংবেদনশীল ত্বকের যত্ন একরকম ভাবে করতে হবে। আবার রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বকের যত্ন হয় অন্যরকম, অর্থাৎ ত্বকের ধরন বুঝে তার যত্ন নিতে হয়। তাহলে আমরা বুঝতে পারি, তৈলাক্ত ত্বক এবং শুষ্ক ত্বক এ দুটোর যত্ন আলাদা আলাদা নিয়মে নিতে হবে।
ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ হলে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা, যেমন
- সোরিয়াসিস,
- চামড়া ফাটা
- তো খসখসে হয়ে যাওয়া
- ও অন্যান্য সমস্যা।
শুষ্ক ত্বক কিভাবে চিনবেন:
- খসখসে,
- রুক্ষ,
- অমসৃণ ত্বক
এসব হলো শুষ্ক ত্বকের লক্ষণ, আর এই ধরনের ত্বকে মাঝেমধ্যে চুলকানি হতে পারে, বা rash উঠতে পারে। আপনার ত্বকে আর্দ্রতার অভাব হলে বিবর্ণ ও নিষ্প্রাণ দেখায় আর শুষ্ক ত্বকের pore খুব ছোট হয় আর টাইট হয়।
শুষ্ক ত্বক হয়ে গেলে কি করবেন?
- শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশি প্রয়োজন আর্দ্রতা, এজন্য ডিপ হাইড্রেশন হয় এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- দিনে একবারের বেশি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন না।
- নরমাল পানি বা পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
- আপনার ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, আর শীতকাল হলেও পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
- খেয়াল রাখতে হবে, শুষ্ক ত্বকে ব্যবহৃত ফেসওয়াশ যেন ময়েশ্চারাইজারযুক্ত হয়।
সুস্থ ত্বকের যত্নের জন্য ঘরেই বানিয়ে ফেলুন ফেসপ্যাক:
শসা:
শসা আপনার ত্বককে শীতল ও সতেজ করবে, এবং এই শশা ত্বকের জ্বালাপোড়া, চুলকানির সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকরী।এই ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য অর্ধেক শসা কুচি করে কেটে নিন এবং এর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে নিন। এরপর উক্ত মিশ্রণ কে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। ফ্রিজ থেকে বের করে শসার টুকরো মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন। এর পর আপনার ত্বক বা মুখমন্ডল পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এবং এভাবে সপ্তাহে দু’বার লাগাতে পারেন।
চন্দন:
অতি প্রাচীনকাল হতেই চন্দন রূপচর্চার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আপনার ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ, চটচটে ভাব এবং জ্বালা নিরাময়ে চন্দন একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। চন্দন দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য ১ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে ১ থেকে ৪ চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এরপর উক্ত মিশ্রণে ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে তৈরি করে ফেলুন প্যাকটি। এখন এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন, আর ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এভাবে সপ্তাহে তিনবার লাগাতে পারেন।ডিমের কুসুম:
ডিমের কুসুম এর মধ্যে ময়েশ্চারাইজিং ফ্যাট থাকে, যা আপনার ত্বকের পুষ্টি যোগায় এবং এটি শুষ্ক ত্বককে সতেজ করে।
- এই প্যাকটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হবে একটি দিন এবং এক চা চামচ মধু। প্রথমে ১টি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশে যাওয়া পর্যন্ত বিট করতে হবে ভালোভাবে তারপর বানানো মিশ্রণটি মুখে লাগাতে পারেন।
- বানানো ফেসপ্যাক টি লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ১০-১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অ্যালোভেরা:
অ্যালোভেরা এর অনেক প্রাকৃতিক গুণ রয়েছে আর এটি ত্বককে সতেজ করে।
অ্যালোভেরা তে রয়েছে
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
- অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং
- ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য।
অ্যালোভেরা দিয়ে বানানো ফেসপ্যাকটি প্যাকটি ব্যবহার করার পর আপনার ত্বক হবে উজ্জ্বল।
এই ফেস প্যাকটি তৈরীর জন্য প্রয়োজন হবে এলোভেরা, মধু, এবং চন্দন। প্রথমে ২ টেবিল চামচ তাজা অ্যালোভেরা জেল নিয়ে এরমধ্যে ১ চা চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে নিন।
বানানো ফেসপ্যাকটি ১৫ মিনিট রেখে দিন এবং শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন।
কমলার রস:
মলার রস এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ‘সি যা ত্বকের টোনার হিসেবে কাজ করে। ভিটামিন ‘সি’ দেহের ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে দেয় এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানোর ফলে এটি ত্বক মেরামত করতে, বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
- কমলা দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হবে কমলা রস এবং ওটামিল। প্রথমে কমলালেবু চিকে রস বের করে নিন এরপর ১-২ টেবিল চামচ কমলার রসের সঙ্গে এক থেকে দেড় টেবিল চামচ ওটমিল ভালোভাবে মিশাতে হবে। ব্যাস তাহলেই এই ফেসপ্যাকটি তৈরি হয়ে যাবে এরপর ফেসপ্যাকটি মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ফেসপ্যাকটি ধুয়ে ফেলুন।
Post a Comment