-->

চা নাকি কফি, কোনটা বেশি উপকারী?

চা নাকি কফি, কোনটা বেশি উপকারী?

অনেকেরই দিনের শুরুটা চা না হলে হয় না,আবার কারও কফি, অর্থাৎ দিনের শুরুটা যেন ভালো হয় না। এই দুই রিফ্রেশিং পানীয়ের মধ্যে কোনটি ভালো, এই নিয়ে মাঝেমাঝেই তর্ক হয় অনেকের মাঝে, আর কেউ কফির গুণাগুণ এর পক্ষে বলেন আবার কেউ চায়ের। 

চা নাকি কফি, কোনটা বেশি উপকারী?


ক্যাফেইন ভাণ্ডার হলো কফি​: 

কফিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফিন রয়েছে, আর এটি কফির অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট বা প্রধান উপকরণ বলা যায়। ক্যাফিন স্বাস্থ্যের উন্নতির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, আর এটি দেহের স্টিমুলেন্ট হিসেবে কাজ করে। আসলে কফির অনেক গুণ রয়েছে, যেমন এই পানীয় নিয়মিত পান করলে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি কিছুটা প্রতিরোধ করা যায়। কফি শরীর চাঙ্গা করতে এবং মুড বুস্ট করার কাজে দারুণ কার্যকর, এমনকী দুশ্চিন্তা এড়ানোর কাজেও এই পানীয়র ভূমিকা রয়েছে। তাইতো কেউ টেনশনে থাকলে কফি খেয়ে কিছুটা স্বস্তি বোধ করেন, আর শরীর ও মনের স্বাস্থ্য ফেরাতে চাইলে নিয়মিত কফি খাওয়াই যায়।


​চায়ের বিকল্প নেই​: 

এবার আসি চায়ের কথায়, চায়েও অনেকটা পরিমাণে ক্যাফিন রয়েছে এছাড়া এতে আরো আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও যা অত্যন্ত উপকারী আমাদের জন্য।  নিয়মিত চা খেলে নানা ধরনের হার্ট এর রোগ প্রতিরোধ করা যায়, আর এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ওজন কমানো সহ অনেক উপকারী কাজেও এই পানীয় অতুলনীয়।


কফির মতোই চায়েরও মুড ভালো করার ক্ষমতা রয়েছে আর তাই চা পান করার পর কাজে মন বসাতে সুবিধা হয় এবং সেই সাথে চা কফি খেলে উৎকণ্ঠা ও দুশ্চিন্তা।


চা না কফি, পুষ্টিগুণে কোনটি এগিয়ে?

কফির তুলনায় সাধারণ চায়ের দাম কিছুটা কম তাই অনেকেই ভাবেন, কফি হয়তো অতিরিক্ত উপকারী চায়ের তুলনায়। আসলে বিষয়টি ঠিক নয়, আসল ব্যাপার হলো এই দুই পানীয়ের কোনও একটি খেলেই উপকার হবে। 

চায়ের তুলনায় কফিতে প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি ক্যাফিন রয়েছে, আর তাই দ্রুত মুড বুস্ট হবে কফি খেলে আর অন্যদিকে চায়ে এমন একটি উপাদান রয়েছে যা দেরিতে হলেও দীর্ঘক্ষণ মুড ভালো রাখতে পারে।


দিনে কত কাপ চা-কফি পান করা উচিত?​

চা বা কফির প্রতি আসক্তি রয়েছে অনেকেরই, আর এ কারণে অনেকেই যখন তখন চা বা কফি পান করেন। চা বা কফি জাতীয় পানীয় বেশি পরিমাণে খেলে বা মাত্রা ক্রস করলে পেটের একাধিক সমস্যা হতে পারে, সেই সাথে হতে পারে ঘুমের সমস্যা। 

অনেকেই চায়ে দুধ ও চিনি মিশিয়ে খান, আর এটাও খারাপ অভ্যাস, কারণ এই কারণে সুগার এবং ওজন, দুইই বাড়তে পারে। অনেকে সকালের নাশতা বা দুপুরের খাবার খেতে খেতে বা আগে পরে চা - কফি খান, এতে শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এর বদলে চা কফি খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে খাবেন আর তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন।